সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ ভাদ্র ও আশ্বিন মাস নিয়ে ঋতু পরিক্রমার তৃতীয় ঋতু শরৎকাল। মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য অক্টোবর পর্যন্ত শরৎ ঋতুর পথচলা। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে প্রকৃতিতে আগমন ঘটে শুভ্র শরতের। কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি আবার কখনো বা মেঘলা আকাশ। মেঘ-রৌদ্রের লুকোচুরির মাঝে প্রকৃতিতে যেন এক নৈসর্গিক মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেয় শরৎ। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শরৎকালের সেই মাধুর্য এখন আর খুঁজে পায় না মানুষ। শরতের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। তবুও শহর জীবনের ব্যস্ততার মাঝেও শরতের আকাশজুড়ে সাদা মেঘের জড়াজড়ি, তুলোর মতো ভাসা ভাসা মেঘমালা নজর কাড়ে সবার। ইট-পাথরের শহর থেকে দূরে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্রের চর-দ্বীপচরে শোভা ছড়ায় শরতের শুভ্র শুধু ব্রহ্মপুত্র নয়, শরতের অন্যতম অনুষঙ্গ কাশফুলে ছেয়ে গেছে গাইবান্ধার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা, করতোয়া, ঘাঘট, মানস, আলাই ও বাঙ্গালী নদীর দুই পার আর চর-দ্বীপচর। বিশাল চরাঞ্চলজুড়ে সবুজের বুকে ফুটেছে কাশফুল। নীল আকাশে সাদা মেঘের সঙ্গে নদীপাড়ে শুভ্র কাশফুলের মেলবন্ধন কাছে টানে প্রকৃতিপ্রেমীদের। আর তাই শরতসঙ্গী কাশফুলের নরম ছোঁয়া নিতে এখানে প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে আসেন সৌন্দর্য-পিপাসু শহুরে মানুষ।
‘শরৎ মানেই কাশফুল, নীল আকাশ আর দিগন্তজোড়া সবুজের সমারোহ। আর কাশফুল হলো শরৎ, প্রকৃতি এবং বাংলার মানুষের এক চিরন্তন সঙ্গী। কাশফুলের সৌন্দর্য আমাদের মনের সৌন্দর্যকে সমৃদ্ধ করে।
শরতকালে কাশফুল ফুটতে দেখা যায়। কাশ এখানকার জনপ্রিয় ফুলের মধ্যে একটি। ঋতুচক্রে স্বপ্ন ও শুভ্রতার প্রতীক হয়ে শরত আসে। দূর্বাঘাসে শিশিরের আলপনা জাগে। শরতের শান্ত প্রকৃতি, গাঢ় নীল আকাশ ও শুভ্র প্রাণের কাশফুলের শুভ্র ছোঁয়া আমাদের মুগ্ধতার ডাক দিয়ে যায়।